By: মুনজেরিন শহীদ
Category:general
BDT 750.00
BDT 563.00
In Stock (20 copies available)
স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
Add to wishlist
Title | ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতি (হার্ডকভার) |
Author | মুনজেরিন শহীদ |
Publisher | তাম্রলিপি |
ISBN | 9789849760597 |
Edition | 1st |
Page Number | 367 |
ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতি স্পিকিং, লিসিনিং, রাইটিং ও রিডিং— IELTS পরীক্ষায় দরকারি এই চারটি অংশেরই পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতি বইটিতে রয়েছে- IELTS-এর ৪টি সেগমেন্ট এর Complete preparation পরীক্ষায় ভালো করার Tips and Techniques Speaking- এর ১০০+ Common Topics ৫০০+ প্রয়োজনীয় IELTS Vocabulary Common mistakes নিয়ে আলোচনা ৩০+ Detailed টপিকভিত্তিক চ্যাপ্টার IELTS-এ ৮ দশমিক ৫ পয়েন্ট অর্জনকারী মুনজেরিন শহীদের প্রায়োগিক অভিজ্ঞতার আলোকে রচিত বইটি ঘরে বসেই IELTS Preparation নেওয়ার পরিপুর্ণ Journey। ঘরে বসেই IELTS প্রস্তুতি যেভাবে নিবেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষা, চাকরি এবং ইমিগ্রেশনের জন্য ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণে আইইএলটিএস (ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম) সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি পরীক্ষা। ব্রিটিশ কাউন্সিল, আইডিপি: আইইএলটিএস অস্ট্রেলিয়া ও কেমব্রিজ ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাসেসমেন্ট যৌথভাবে এটি পরিচালনা করে। এক সময় শুধু যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য টেস্টটি অপরিহার্য হলেও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ ইউরোপের বেশির ভাগ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই স্কোর গ্রহণ করছে। আইইএলটিএসে অংশগ্রহনের জন্যে নির্দিষ্ট কোন যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। যেকোনো শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সী যে কেউ এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। IELTS পরীক্ষার ধরণ IELTS পরীক্ষা সাধারণত দুই ভাবে হয়ে থাকে: ১. Paper Based (খাতা-কলম ব্যবহার করে) ২. Online Based (কম্পিউটারের মাধ্যমে) নিজের পছন্দমত যেকোনো একটি পদ্ধতি বেছে নেওয়া যাবে। তবে পরীক্ষার সকল উপকরণ কর্তৃপক্ষ সরবরাহ করবে। নিজস্ব উপকরণ ব্যবহারের অনুমতি নেই। দুই ধরণের মডিউলে পরীক্ষাটি হয়ে থাকে। স্নাতক, স্নাতকোত্তর অথবা পিএইচডি পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য একাডেমিক মডিউলে পরীক্ষা হয়। কারিগরি বিষয় বা প্রশিক্ষণে ভর্তি এবং ইমিগ্রেশনের জন্য জেনারেল ট্রেনিং মডিউলে পরীক্ষা দিতে হয়। IELTS পরীক্ষা পদ্ধতি আইইএলটিএস পরীক্ষায় দুই ধরনের মডিউলেই চারটি অংশ থাকে: শোনা (Listening) রেকর্ড করা নির্দিষ্ট বক্তব্য বা কথোপকথন শুনে এ অংশে প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। কেবল একবারই বাজিয়ে শোনানো রেকর্ডটি থেকে মাল্টিপল চয়েজ, সংক্ষিপ্ত উত্তর, বাক্যপূরণ প্রভৃতি প্রশ্ন করা হয়। ৩০ মিনিটের এই অংশে মোট চারটি বিভাগে ৪০টির মতো প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এ অংশে পরীক্ষার্থীরা ৪ রকম অ্যাকসেন্টের মুখোমুখি হতে পারেন- ব্রিটিশ, আমেরিকান, কানাডিয়ান ও অস্ট্রেলিয়ান। মূলত এই অংশে ইংরেজি বোঝার ক্ষমতা যাচাই করা হয়। লেখা (Writing) এ অংশে ইংরেজি লেখার দক্ষতা যাচাই করা হয়। যেখানে ১ ঘণ্টায় দুটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। দ্বিতীয় প্রশ্নটিতে প্রথম প্রশ্নের চেয়ে বেশি নম্বর থাকে। প্রথম প্রশ্নে ২০ মিনিটের কাছাকাছি সময়ে ১৫০ শব্দে কোন চার্ট, ডায়াগ্রাম ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে বিশ্লেষণধর্মী কিছু লিখতে হয়। দ্বিতীয় অংশে ৪০ মিনিটে ২৫০টি শব্দে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের পক্ষে বা বিপক্ষে বিশ্লেষণী বা সমালোচনামূলক মূল্যায়ন লিখতে হয়। বলা (Speaking) কথা বলার দক্ষতা যাচাইয়ের ১২ থেকে ১৫ মিনিটের এই অংশে তিনটি বিভাগে পরীক্ষা দিতে হয়। প্রথম বিভাগে পরিবার, পড়াশোনা, শখ প্রভৃতি বিষয়ক কিছু সাধারণ প্রশ্ন থাকে। দ্বিতীয় বিভাগে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দুই মিনিট কথা বলতে হয়। প্রস্তুতির জন্য এক মিনিট সময় দেয়া হয়। তৃতীয় বিভাগে থাকে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চার পাঁচ মিনিটের কথোপকথন। এ অংশে বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়। যেমন- কথার গতি ও সাবলীলতা, নির্ভুল ও বোধগম্য উচ্চারণ, শব্দভাণ্ডারের বিস্তৃতি, ব্যাকরণের বৈচিত্র্যময় ও নির্ভুল ব্যবহার প্রভৃতি। পাঠ (Reading) এক ঘন্টাব্যাপী এ অংশে ৩টি অনুচ্ছেদ থেকে ৪০টি প্রশ্ন করা হয়। বিভিন্ন জার্নাল, বই, সংবাদপত্র থেকে কিছু অংশ তুলে দিয়ে সেখান থেকে বাক্যপূরণ, সংক্ষিপ্ত উত্তর, সঠিক উত্তর খুঁজে বের করা প্রভৃতি প্রশ্ন করা হয়। IELTS স্কোর: চারটি অংশে আলাদাভাবে প্রাপ্ত স্কোর গড় করে এক থেকে নয় স্কেলে চূড়ান্ত স্কোর দেওয়া হয়। ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে সাধারণত সাত থেকে সাড়ে সাত পেতে হয়। সাড়ে ছয়-এর কম স্কোর খুব কম বিশ্ববিদ্যালয়ই গ্রহণ করে। আবার কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথকভাবেও স্কোর গ্রহণ করে। সেক্ষেত্রে মোট স্কোর ভাল হলেও কোনো একটি অংশে কম পেলে ভর্তির সুযোগ নাও মিলতে পারে। আইইএলটিএস স্কোরের মেয়াদ থাকে দুই বছর। এরপর আগের স্কোরের কোন মুল্য থাকে না। তখন চাইলে প্রার্থীকে আবারো IELTS-এ অংশগ্রহণ করতে হয়। IELTS ফলাফল প্রক্রিয়া সাধারণত পরীক্ষার ১৩ দিন পর ফল প্রকাশিত হয়। সরাসরি ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে অথবা প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট থেকেও সহজেই জেনে নিতে পারবেন ফলাফল। রেজাল্ট নিয়ে সন্দেহ থাকলে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ‘এনকুয়ারি অন রেজাল্ট’-এর আবেদন করতে হয়। তবে ফলাফলে ভুল ধরা পড়লে ফি-এর টাকা ফেরত পাবেন। ছয় থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই ব্রিটিশ কাউন্সিল পুনঃনম্বরকৃত ফলাফল প্রকাশ করবে। IELTS-এ কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে করণীয় প্রথমেই ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতি বইটি সংগ্রহ করুন। আইইএলটিএস প্রস্তুতির শুরুতেই কয়েকটা মক-টেস্ট দিতে পারেন। এর স্কোর থেকেই বুঝতে পারবেন কাঙ্ক্ষিত স্কোর থেকে আপনার অবস্থান কতটা দূরে। সে অনুযায়ী প্রতিদিন নিয়ম করে শুরু করুন প্রস্তুতি। প্রথমেই exam format, module, time limits এবং অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিলে প্রস্তুতি এবং ভাল স্কোর তোলা সহজ হয়। কেমব্রিজ থেকে প্রকাশিত আইইএলটিএস-এর প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। এগুলো সমাধান করুন। নিজে নিজে প্রস্তুতির জন্য প্রচুর বই এবং অনলাইনে অনেক টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। সেগুলো অনুসরণ করুন। নিয়মিত ইংরেজি সংবাদ দেখুন। এতে উচ্চারণ সম্পর্কে ভাল ধারণা হয়। এছাড়া ইংরেজি ধারাভাষ্য, সিনেমা বা সিরিজের ডায়লগগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এগুলো লিসেনিংয়ে কার্যকরী। রিডার্স ডাইজেস্ট, নিউইয়র্ক টাইমসসহ নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়ুন। বিষয়বস্তু আয়ত্তের পাশাপাশি অচেনা শব্দগুলো আন্ডারলাইন করে অর্থ জেনে নিন। এগুলো আপনার পড়ার দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। রাইটিংয়ে ভাল করতে নিয়মিত বিভিন্ন টপিক নিয়ে ইংরেজিতে লিখুন। সম্ভব হলে অভিজ্ঞ কাউকে সেটা দেখিয়ে নিন। স্পিকিং অংশে ভাল স্কোর পেতে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলার অভ্যাস করুন। প্রয়োজনে একা একাই বিভিন্ন টপিকে কথা বলুন। প্রতিদিন চারটি বিভাগের প্রস্তুতির জন্যই নির্দিষ্ট সময় রাখুন। মক-টেস্ট ও প্রস্তুতির জন্য সব সময় স্টপ ওয়াচ ধরে প্রশ্নপত্র সমাধান অনেক কাজে দেয়। IELTS এর জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া রেজিস্ট্রেশনের জন্য পাসপোর্ট থাকা আবশ্যক। এছাড়া দরকার সম্প্রতি তোলা ২টি পাসপোর্ট সাইজের স্পষ্ট রঙ্গিন ছবি। নিজের তথ্য সংবলিত পৃষ্ঠার ফটোকপি এবং ফি নিয়ে সরাসরি ব্রিটিশ কাউন্সিল অথবা এর অনুমোদিত যে কোন পয়েন্ট থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এছাড়া অনলাইনে ফরম পূরণ করে টাকা জমা দেওয়া যাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের নির্দিষ্ট কিছু শাখায়। ব্রিটিশ কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে দেখে নিতে পারে কোন কোন শাখায় ফি জমা দেওয়া যাবে। ধরণ অনুযায়ী ফি ১৭০০০-২৩০০০ টাকার কাছাকাছি। তবে সময়ের সাথে এটি পরিবর্তিত হতে পারে, তাই পরীক্ষার পূর্বে ওয়েবসাইট থেকে জেনে নেয়াই ভালো। IELTS স্কোর কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে চাইলে এপ্লিকেশন ফর্মে সেটা উল্লেখ করতে হবে। এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার পরীক্ষার সময়, স্থান, নিবন্ধন নম্বর ইত্যাদি তথ্য। প্রতি মাসে সাধারণত তিনবার পরীক্ষা নেওয়া হয়। ওয়েবসাইটে অথবা ফোন করেও পরীক্ষার তারিখ জেনে নিতে পারেন। অনলাইনে পূরণ করা ফরমের প্রিন্ট কপি ও ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার স্লিপ সংগ্রহে রাখুন, এগুলো পরে কাজে লাগতে পারে। ঘরে বসে IELTS এর সেরা প্রস্তুতির জন্য ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতি বইটি আজকেই সংগ্রহ করুন।